ডেস্ক রিপোর্ট:
সরকারি-হাসপাতালে-বসে-রোগীর-কাছে-টাকা-দাবির-অভিযোগ হাসপাতালে দালাল পোষার অভিযোগও রয়েছে ডা. মামুনুর রশীদ মৃধার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুনুর রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে টাকা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়েছি।’ এ ধরনের চিকিৎসার জন্য তিনি এক লাখ টাকাও নিয়ে থাকেন বলে জানান।
সরকারি হাসপাতালে বসে চিকিৎসাবাবদ রোগীদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসকের দাবি করা ১৫ হাজার টাকা না দেয়ায় চিকিৎসা মেলেনি তার।
গত মঙ্গলবার(২১মে)বিকেল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম মামুনুর রশীদ মৃধা। তিনি কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত।
মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের ঝাওগারচর গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমানের ছেলে।
মজিবুর জানান, মারামারি সংক্রান্ত ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে ছোট ভাই হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান তিনি। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মামুনুর রশিদ মৃধা। এ সময় চিকিৎসাবাবদ তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন ডা. মামুনুর। অনেক অনুরোধের পর শেষ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকায় রাজি হন তিনি, কিন্তু সঙ্গে নগদ টাকা না থাকায় বাঁধে বিপত্তি। চিকিৎসক তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধমক দিয়ে বলেন- ‘এটা মাছের বাজার পেয়েছ?’ টাকা দিতে না পারায় চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘তখনও আমার হাতের কাটা অংশ থেকে রক্ত ঝরছিল। এ অবস্থায় আগে চিকিৎসা নিয়ে, পরে বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা এনে দেয়ার কথা বললে ডাক্তার ধমক দেন।’
Leave a Reply